কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা কি?

ওজন কমাতে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে

কমলির শাক বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় এবং প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জনপ্রিয় শাকের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত শাক হল কলমি শাক এটি স্বাদে ও



 পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে অন্য সাকিব তুলনায় কলমি শাক অবহেলিত এই শাকে আপনার শরীরের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও নানা উপকারে আসতে পারে ৷ নিচে কমলির শাক খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা আলোচনা করা হলো:

পেজ সূচিপত্র:এক নজর কলমি শাকের গুনাগুন ও উপকারিতা;

১. পুষ্টিগুণে ভরপুর

কমলির শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, এবং কে রয়েছে। এছাড়া এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, এবং পটাসিয়ামও রয়েছে, যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ করে এই শাকে থাকা ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

কমলির শাকে বিদ্যমান ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সাথে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে ৷ কলমির শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এতে থাকা আয়রন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি শরীরে আয়রন ঘাটতি আর ক্ষয় এবং সর্দি কাশির মতো সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করে।

৩. হজমে সহায়ক



কমলির শাকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি হজমে সহায়ক। কলমি শাক আমাদের শরীরে হজম করার ক্ষমতাকে আরো দ্বিগুণ করে তোলে তার জন্য কলমি শাককে হজম সহায়ক কে বলা হয় কলমি শাক পেটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যা পিত্ত থলিতে কখনো পাথর জমতে দেয় না কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং হজমপ্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।

৪. হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য

কমলির শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলমি শাকের গুনাগুন অপরিসীম হার এর ক্ষয় পূরণ করে থাকে নিয়মিত এই শাক খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত থাকে এবং দাঁতে কখনো পোকা ধরে না এবং এই শাক হার ও দাঁতের জন্য খুবই উপকারী নিয়মিত এই শাক খাওয়া হাড়ের ক্ষয়রোধ করে এবং দাঁতের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে।

৫. রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ

আয়রনের সমৃদ্ধ কমলির শাক রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। কলমি শাক যা ভিটামিন পরিপূর্ণ তাই এটি রক্তস্বল্পতা মানুষের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে , যাদের শরীরের রক্ত কম তারা নিয়মিত কলমি শাক খেলে তাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা থেকে তারা মুক্ত পাবে এবং শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়ক।

 ৬. ত্বকের যত্ন

ভিটামিন এ এবং সি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমলির শাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ কমায়, এই কলমি শাক এ থাকা ভিটামিন গুলো যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে টক কে করে তোলে উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় তাই ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কলমি শাক খেতে পারেন এবং ত্বককে তরুণ রাখে।

 ৭. হার্টের স্বাস্থ্য

কমলির শাকে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক, যা হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলমির সাথে থাকা পটাশিয়াম যা আপনার শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে তাই কলমি শাক শুধু স্বাস্থ্য না শরীরের ভারসাম্য ঠিকঠাক  করতে সাহায্য করে এটি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

 ৮. ওজন নিয়ন্ত্রণ


কমলির শাকে ক্যালোরি কম থাকে কিন্তু ফাইবার বেশি থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কলমি শাক ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল কারণ হলো কলমি শাকিয়ে থাকে ফাইবার এর পরিমাণ বেশি এবং ক্যালরি কম থাকে তার জন্য আপনার মনে হবে যে আপনার পেট পরিপূর্ণ হয়ে গেছে আর আপনার অতিরিক প্রবণতা ও দেখা যাবে না তাই কলমি শাক ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এটি খেলে পেট ভরা মনে হয় এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায় এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকবে 

 উপসংহার

কমলির শাকের উপকারিতা শুধুমাত্র পুষ্টিগুণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত কার্যকরী। বর্তমানে অনেক ছোট বয়সের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকের আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত কলমি শাক খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে তাই চোখ ভালো রাখতে নিজের খাবেন পাশাপাশি শিশুদেরও এই শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করুন ৷ নিয়মিত কমলির শাক খাওয়ার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি এবং আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারি। তাই আমাদের খাদ্যতালিকায় কমলির শাক অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।



আরো পড়ুন : ওজন কমাতে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url