ওজন কমাতে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে

ওজন কমাতে যেসব খাবার বাদ দিতে হবে , ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা থেকে যেসব খাবার বাদ দিবেন ৷  একটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত লক্ষ্য যা অনেকেই অর্জন করতে চান। এর জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


কিছু খাবার আছে যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে বা সম্পূর্ণ ব্যাহত করতে পারে। নিচে এমন কিছু খাবার উল্লেখ করা হলো যা খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে ওজন কমানোর জন্য। 

সূচনা:

প্রসেসড ফুড যেমন প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কেক, কুকিজ, বিস্কুট পেস্ট্রি কেক সব ড্রিঙ্ক স এককথায় রেডিমেড খাবার যাকে বলে প্যাকেজিং সিস্টেম যেগুলো বা অধিক চিনেই থাকে যেসব খাবারে এবং অন্যান্য জাঙ্ক ফুডে উচ্চমাত্রার চিনি, লবণ এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে। এই খাবারগুলো দ্রুত শরীরে ফ্যাট জমার কারণ হতে পারে।

2.চিনি এবং মিষ্টিজা তীয় খাবার


চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট, আইসক্রিম, এবং মিষ্টি পানীয় কোমল পানীয় যেমন কোকাকোলা পেপসি মাউন্টেন ডিউ  জাতীয় যেগুলো তো অধিক পরিমাণে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করা হয় এগুলোই ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। এই খাবারগুলোতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে যা দ্রুত ওজন বাড়ায়।

3. সফট ড্রিঙ্কস এবং এনার্জি ড্রিঙ্কস

সফট ড্রিঙ্কস এবং এনার্জি ড্রিঙ্কস উচ্চমাত্রার চিনি ও ক্যালোরি সরবরাহ করে। এসব পানীয় দেহে জমাতে পারে অধিক পরিমাণে ফ্যাট  যা শরীরের ওজন বাড়িয়ে তুলে অতি দ্রুত যা শরীরে চর্বি জমাতে সাহায্য করে এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ধীর করে।

4.রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন সাদা রুটি, পাস্তা, এবং পেস্ট্রি দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি চর্বি সঞ্চয়কে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করে।

5. অ্যালকোহল

অ্যালকোহলে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এবং আমাদের শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে এ অ্যালকোহলে রয়েছে অধিক পরিমাণে কন সিরাপ ও চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই আমাদের শরীরে ওজন বৃদ্ধির জন্য অ্যালকোহল এর ভূমিকা রয়েছে বিশেষ করে বিয়ার এবং মিষ্টি ওয়াইন ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

6. ফ্রাইড ফুড

ভাজাপোড়া খাবার যেমন ফ্রাইড চিকেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, এগুলো আমাদের নিত্যদিনের খাবার চামড়া প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি আর  ভাজাপোড়া আমাদের শরীরে তৈরি করে  গ্যাস তৈরি করে যা পরবর্তীতে শরীর খারাপের জন্য দায়ী এই ভাজাপোড়া এবং অন্যান্য ভাজা খাবার উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট ও ক্যালোরি ধারণ করে যা দেহে ফ্যাট জমাতে সহায়ক।

7. উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ডেইরি প্রোডাক্টস

উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ডেইরি প্রোডাক্টস যেমন ফুল-ক্রিম দুধ, চিজ, চকলেট, কেক ও পেস্ট্রি, মিষ্টি পায়েস, লাড্ডু ,মিষ্টি দই, জিলাপি এবং বাটার  ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত নয়।  তবে অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত কারণ এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এছাড়াও সুষম খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম না করলে শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে ৷ খাবারে উচ্চমাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা ওজন বৃদ্ধি করতে পারে। 

8.প্যাকেটজাত ফলের রস


যদিও ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, প্যাকেটজাত ফলের রস প্রায়ই চিনি যোগ করা হয় এবং এতে ফাইবার কম থাকে। প্যাকেট জাতীয় ফলের রস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য যাতে সেটা দীর্ঘদিন ভালো থাকে তার জন্য বিশেষ কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে এতে যা আমাদের স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তাই ফলের রস খেতে হলে টাটকা খেতে হবে  সম্ভব না হলে প্যাকেট জাতীয় ফলের রস খাওয়া যাবে না তাই এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

উপসংহার

ওজন কমানোর জন্য খাদ্য তালিকা থেকে উপরের খাবারগুলো বাদ দেওয়া প্রয়োজন। পরিবর্তে, তাজা ফল, সবজি, সারা শস্য, লীন প্রোটিন, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করে একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং যথেষ্ট ঘুমানো ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা গ্রহণ করে আপনি সহজেই আপনার কাঙ্খিত ওজন অর্জন করতে পারবেন।



আরো পড়ুন : অল্প সময়ে দ্রুত চুল লম্বা করার কার্যকরী উপায় কি কি ?


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url