ভূমিকা:

দাঁতের মাড়ি শক্ত করে পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার ১০ কার্যকরী গুণ পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দাঁত ও মাড়ির যত্নে অসাধারণ ভূমিকা রাখতে পারে। এদের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো মুখের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক। ফল ও সবজি এমন খাবার যা দাঁত সুস্থ রাখার পাশাপাশি 

সৌন্দর্য রাখতে সহায়তা করে ৷ ও কচকচে সবজি সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো দাঁতের প্লাক দূর করে ফলের দাঁত ও মারি ক্ষয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৷ এখানে পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার ১০টি কার্যকরী গুণ আলোচনা করা হলো, যা মাড়ি শক্ত ও সৌন্দর্য করে তোলে।

এক নজরে পেট সূচিপত্র:

১. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ

পেয়ারা পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি মাড়ির সংক্রমণ এবং মাড়ির প্রদাহজনিত সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করতে সহায়ক। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পদার্থ গুলি ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে বা তাদের বৃদ্ধি রোধ করতে সক্ষম এগুলি সাধারণত বিভিন্ন রাসায়নিক এবং প্রাকৃতিক উপাদানে পাওয়া যায় যেমন পেয়ারাতে

 ২. অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব (antibacterial)

পেয়ারা পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মুখের ব্যাকটেরিয়া কমিয়ে দেয়, যা মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কার্যকর। এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল কমে যাওয়ার কারণে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় এবং সৌন্দর্য দেখায় পেয়ারার পাতাতে থাকা রাসায়নিক এজেন্ট ব্যাকটেরিয়ার ডি এন এ বা প্রোটিনের সংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় 

৩. প্রাকৃতিক মুখ ধোয়ার উপাদান

পেয়ারা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে মুখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করা হলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা পরিষ্কার হয়, যা মুখের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক। অথবা সরাসরি গাছ থেকে পেয়ারার পাতা ভেঙে 

বা পেয়ারার পাতা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মারিতে জমে থাকা লালচে দাগটি কেটে যায় এবং দাঁত চকচক করে ৷ 

 ৪. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মুখের কোষগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করে এবং মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখে। পেয়ারা এবং পেয়ারার পাতা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এ পরিপূর্ণ তাই পেয়ারার পাতা ব্যবহার করলে মুখের কোর্সগুলো এন্টি ব্যাকটেরিয়া প্রভাব থেকে সুরক্ষা এবং মুখের কোষগুলোকে সুরক্ষা প্রদান করে

 ৫. মাড়ির রক্তপাত কমানো

পেয়ারা পাতা ব্যবহার করলে মাড়ির রক্তপাত কমানো যায়। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ মাড়ির রক্তপাত কমাতে সহায়ক। মারের রক্তপাত কমানোর জন্য নিয়মিত পেয়ারা পাতা দিয়ে দাঁত মাজতে হবে পেয়ারার পাতাতে থাকা এন টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকায় মুখের কোষ গুলো ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা পায় এবং মারির রক্তপাত বন্ধ করে

৬. মাড়ি শক্ত করা

পেয়ারা পাতায় থাকা ট্যানিন মাড়িকে শক্ত করে তোলে। এটি মাড়ির ক্ষয় রোধ করে এবং মাড়ির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। পেয়ারার পাতাতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং মাড়িকে শক্ত করে তোলে

 ৭. মুখের দুর্গন্ধ দূর

পেয়ারা পাতা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এবং মুখের তাজা ভাব বজায় রাখে। পেয়ারা পাতার প্রাকৃতিক সুগন্ধ মুখকে সতেজ রাখে। পেয়ারার পাতাতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা  

মুখের ব্যাকটেরিয়া জীবাণু  গুলোকে ধ্বংস করে ৷ মুখে কোন দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে দেয় না

 ৮. ফ্লোরাইডের উৎস

পেয়ারা পাতা প্রাকৃতিক ফ্লোরাইডের উৎস, যা দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে এবং মাড়ির স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক। পেয়ারার পাতার মতন যেসব ফলে ফ্লোরাইড ের এর মতন উৎস পাওয়া যায় সেসব ফল আমাদের দাঁত কে ক্ষয় হইতে রক্ষা করে এবং মারির স্বাস্থ্য উন্নতি করতে সহযোগিতা 

 ৯. প্রাকৃতিক পেইনকিলার

পেয়ারা  মাড়ির ব্যথা কমাতে প্রাকৃতিক পেইনকিলার হিসেবে কাজ করে। এটি মাড়ির সংক্রমণজনিত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা শক্ত হওয়ার কারণে এটি দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেতে হয় আর 

এই খাওয়ার মধ্য দিয়ে মুখের চোয়াল গুলো ব্যথা দূর হয়ে যায় তাই পেয়ারা কে প্রাকৃতিক পেইন কিলার বলা হয়

 ১০. মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধ

পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন সি মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। এটি মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহযোগিতা করে পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন সি যা মারির সংক্রমণ হইতে প্রতিরোধ করে

 ব্যবহারের উপায়

*পেস্ট তৈরি

কয়েকটি পেয়ারা পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দিয়ে দাঁত ও মাড়ি মসৃণভাবে মালিশ করতে পারেন।

•  মাউথওয়াশ

পেয়ারা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এটি প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা পরিষ্কার করে।

•  পেয়ারা পাতা চিবানো

কিছু তাজা পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি মুখের স্বাস্থ্য উন্নতিতে সহায়ক এবং মাড়ি শক্ত করতে কার্যকর।

•  পেয়ারা খাওয়া

নিয়মিত পেয়ারা খেলে দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেয়ারায় থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।

শেষ কথা

পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার এই উপকারিতা মাড়ির স্বাস্থ্য উন্নত করতে এবং মাড়িকে শক্ত করে তুলতে সহায়ক। উপরে দেওয়া দশটি কার্যকর উপায় নিয়মিত নিয়মিত মেনে চললে আপনার দাঁত হয়ে উঠবে মজবুত এবং সৌন্দর্য কোষগুলো শক্তিশালী এবং আপনি শক্ত থেকে শক্ত খাবার দাগ দিয়ে ভেঙে খেতে পারবেন ৷ পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে আপনি দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া