ই-পাসপোর্ট আবেদন, চেক, রিনিউ ও সংশোধন প্রক্রিয়া

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

ভুমিকা; ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক, রিনিউ, ও সংশোধন প্রক্রিয়া, আপনি যদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করেন বা কোন ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে শেষ পর্যন্ত পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন ৷ বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। পাসপোর্ট সেক্টরও এর ব্যতিক্রম নয়। 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/06/malaysia-visa-chak.html

ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট একটি আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন,যা আমাদের পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নিরাপদ করেছে।ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক, রিনিউ এবং সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

এক নজরে পেইজ সূচিপত্র

ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা কী ?

ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ভ্রমণকারীরা যাতায়াতের জন্য কোথাও অপেক্ষা বা লাইনে দাঁড়াইতে হয় না ৷ ই-পাসপোর্ট অনলাইন সিস্টেম হওয়ার কারণে যাবতীয় তথ্য দ্রুত এয়ারপোর্ট এর ডাটা বেজে চলে যায় এবং ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেয় ৷ ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনার ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

একজন বাংলাদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট যোগ হবে:

  • ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পেইজ, রেগুলার ফি ৪০২৫ টাকা ৷
  • ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পেইজ, রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা 
  • ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পেইজ, রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা ৷
  • ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পেইজ, রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা ৷

পাসপোর্ট প্রদানের সময়সীমা:

  1. Regular = সাধারণ - ২১ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷
  2. Express = জরুরী - ১০ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷
  3. Super Express = অতি জরুরী - ২ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷

১৮ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট পাবে ৷ অতি জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ বরাবর একটি আবেদন করে আবেদন ফরমটি জমা দিতে হবে ৷

ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক ? 

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর প্রক্রিয়াটি চেক করা গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে আবেদন করার পরে, আবেদনকারী একটি আবেদন নম্বর পান যা দিয়ে তিনি তার আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা চেক করতে পারেন। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক করতে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়: 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/06/malaysia-visa-chak.html

1.ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: প্রথমে, ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান (https://www.epassport.gov.bd)

2. লগইন করুন: আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে নতুন করে রেজিস্টার করুন।

3. আবেদন চেক করুন: আপনার আবেদন নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা চেক করুন। এখানে আপনি জানতে পারবেন আপনার আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে।

ই-পাসপোর্ট রিনিউ প্রক্রিয়া

ই-পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে কিংবা পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে গেলে রিনিউ করার প্রয়োজন হয়। রিনিউ প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

1.অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ: ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
2. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড: আপনার পুরানো পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করুন।
3.ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করুন।
4. বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান: নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে আপনার বায়োমেট্রিক ডেটা (ছবি, আঙুলের ছাপ ইত্যাদি) প্রদান করুন।
5. আবেদন চেক: আপনার রিনিউ আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা নিয়মিত চেক করুন।

 ই-পাসপোর্ট সংশোধন প্রক্রিয়া

কিছু সময়ে পাসপোর্টে ভুল তথ্য থাকার কারণে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নরূপ:

1. অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ: ই-পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।

2. ডকুমেন্ট আপলোড: সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন। যেমন, যদি নামের বানান ভুল থাকে তাহলে সঠিক নামের প্রমাণপত্র আপলোড করুন।

3.ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করুন।

4. বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান: সংশোধনের জন্য যদি বায়োমেট্রিক ডেটা আপডেট করতে হয়, তাহলে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে ডেটা প্রদান করুন।

5. আবেদন চেক: সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা নিয়মিত চেক করুন।

আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া

বাচ্চাদের পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম 

বাচ্চাদের পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা এবং সরল হয় ৷ বাচ্চাদের পাসপোর্ট এর জন্য ই পাসপোর্টের নির্ধারিত সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করতে 
https://www.tukitakiitbd.com/2024/06/malaysia-visa-chak.html
 হবে প্রয়োজনীয় তথ্য বাচ্চার নাম তার জন্ম তারিখ সঠিক ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে , প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: 
  • জন্ম সনদপত্রের কপি 
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি (3.5×4.5সেমি)
  • অভিভাবকের পরিচয় পত্র (NID)
  • নির্ধারিত সরকারি ফি প্রদান
  • সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক
  • আবেদন যাচাই ও অনুমোদন
আপনার দেওয়া তথ্য গুলো সঠিক হলে খুব অল্প সময়ে আপনি  বাচ্চার পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন

বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের তথ্য :

বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট হল আধুনিক নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দের প্রতীক বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে একটি মাইক্রোচিপের মাধ্যমে পাসপোর্ট ভাইয়ের আঙ্গুলের ছাপ চোখের রেটিনার ছবি এবং মুখের ছবি অন্তর্ভুক্ত থাকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে ব্যক্তির সম্পন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে এ প্রযুক্তি পাসপোর্টে 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/06/malaysia-visa-chak.html 
নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে এবং জালিয়াতি প্রতিরোধ করে বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট আধুনিক ও নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতীক হওয়ার কারণে ই পাসপোর্ট ধারী ভ্রমণকারীদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ মাধ্যম প্রদান করে যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকে সহজ এবং নিরাপদ করে তোলে

শেষ কথা

উপরের দেওয়া তথ্য গুলো নিয়ম মোতাবেক অনুসরণ করলে, আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন  চেক রিনিউ ও সংশোধন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং আপনি ই পাসপোর্ট এর সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য জানতে পারবেন ৷ ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক, রিনিউ এবং সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ ও ব্যবহার-বান্ধব। এই প্রক্রিয়াগুলো কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে, আপনি একটি নিরাপদ এবং নির্ভুল পাসপোর্ট পেতে পারেন যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন ও ইলেকট্রনিক ডেটার ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বও বাড়ছে। তাই, এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url