ই-পাসপোর্ট আবেদন, চেক, রিনিউ ও সংশোধন প্রক্রিয়া
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া
ভুমিকা; ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক, রিনিউ, ও সংশোধন প্রক্রিয়া, আপনি যদি ই-পাসপোর্ট আবেদন করেন বা কোন ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে শেষ পর্যন্ত পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন ৷ বর্তমান যুগে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত হচ্ছে। পাসপোর্ট সেক্টরও এর ব্যতিক্রম নয়।
ই-পাসপোর্ট বা ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট একটি আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন,যা আমাদের পাসপোর্ট ব্যবহারের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও নিরাপদ করেছে।ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক, রিনিউ এবং সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
এক নজরে পেইজ সূচিপত্র
- ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা কী
- ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক?
- পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- ই-পাসপোর্ট রিনিউ প্রক্রিয়া
- ই-পাসপোর্ট সংশোধন প্রক্রিয়া
- বাচ্চাদের পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের তথ্য
ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা কী ?
ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ভ্রমণকারীরা যাতায়াতের জন্য কোথাও অপেক্ষা বা লাইনে দাঁড়াইতে হয় না ৷ ই-পাসপোর্ট অনলাইন সিস্টেম হওয়ার কারণে যাবতীয় তথ্য দ্রুত এয়ারপোর্ট এর ডাটা বেজে চলে যায় এবং ই-গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নেয় ৷ ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনার ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?
একজন বাংলাদেশী নাগরিকের ক্ষেত্রে ১৫% ভ্যাট যোগ হবে:
- ৫ বছর মেয়াদী ৪৮ পেইজ, রেগুলার ফি ৪০২৫ টাকা ৷
- ৫ বছর মেয়াদী ৬৪ পেইজ, রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা
- ১০ বছর মেয়াদী ৪৮ পেইজ, রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা ৷
- ১০ বছর মেয়াদী ৬৪ পেইজ, রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা ৷
পাসপোর্ট প্রদানের সময়সীমা:
- Regular = সাধারণ - ২১ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷
- Express = জরুরী - ১০ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷
- Super Express = অতি জরুরী - ২ কর্ম দিবস এর মধ্যে বিতরণ করবে ৷
১৮ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী আবেদনকারীরা শুধুমাত্র ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্ট পাবে ৷ অতি জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ বরাবর একটি আবেদন করে আবেদন ফরমটি জমা দিতে হবে ৷
ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক ?
ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর প্রক্রিয়াটি চেক করা গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইনে আবেদন করার পরে, আবেদনকারী একটি আবেদন নম্বর পান যা দিয়ে তিনি তার আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা চেক করতে পারেন। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক করতে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করা যায়:
1.ই-পাসপোর্ট ওয়েবসাইট ভিজিট করুন: প্রথমে, ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান (https://www.epassport.gov.bd)
2. লগইন করুন: আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে নতুন করে রেজিস্টার করুন।
3. আবেদন চেক করুন: আপনার আবেদন নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা চেক করুন। এখানে আপনি জানতে পারবেন আপনার আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে।
ই-পাসপোর্ট রিনিউ প্রক্রিয়া
ই-পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে কিংবা পাসপোর্টের পাতা শেষ হয়ে গেলে রিনিউ করার প্রয়োজন হয়। রিনিউ প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:
ই-পাসপোর্ট সংশোধন প্রক্রিয়া
কিছু সময়ে পাসপোর্টে ভুল তথ্য থাকার কারণে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত নিম্নরূপ:
1. অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ: ই-পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
2. ডকুমেন্ট আপলোড: সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন। যেমন, যদি নামের বানান ভুল থাকে তাহলে সঠিক নামের প্রমাণপত্র আপলোড করুন।
3.ফি পরিশোধ: নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করুন।
4. বায়োমেট্রিক ডেটা প্রদান: সংশোধনের জন্য যদি বায়োমেট্রিক ডেটা আপডেট করতে হয়, তাহলে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে ডেটা প্রদান করুন।
5. আবেদন চেক: সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়ার অবস্থা নিয়মিত চেক করুন।
আরো পড়ুন: পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক মালয়েশিয়া
বাচ্চাদের পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
- জন্ম সনদপত্রের কপি
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি (3.5×4.5সেমি)
- অভিভাবকের পরিচয় পত্র (NID)
- নির্ধারিত সরকারি ফি প্রদান
- সাক্ষাৎকার ও বায়োমেট্রিক
- আবেদন যাচাই ও অনুমোদন
বায়োমেট্রিক পাসপোর্টের তথ্য :
বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট হল আধুনিক নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দের প্রতীক বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে একটি মাইক্রোচিপের মাধ্যমে পাসপোর্ট ভাইয়ের আঙ্গুলের ছাপ চোখের রেটিনার ছবি এবং মুখের ছবি অন্তর্ভুক্ত থাকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টে ব্যক্তির সম্পন্ন তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে এ প্রযুক্তি পাসপোর্টে
শেষ কথা
উপরের দেওয়া তথ্য গুলো নিয়ম মোতাবেক অনুসরণ করলে, আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদন চেক রিনিউ ও সংশোধন প্রক্রিয়া খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং আপনি ই পাসপোর্ট এর সম্পর্কে আরো বেশি তথ্য জানতে পারবেন ৷ ই-পাসপোর্টের আবেদন চেক, রিনিউ এবং সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ ও ব্যবহার-বান্ধব। এই প্রক্রিয়াগুলো কার্যকরভাবে সম্পন্ন করার মাধ্যমে, আপনি একটি নিরাপদ এবং নির্ভুল পাসপোর্ট পেতে পারেন যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য অপরিহার্য। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন ও ইলেকট্রনিক ডেটার ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ই-পাসপোর্টের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বও বাড়ছে। তাই, এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url