বিটরুট খাবার আগে যে ৯-টি বিষয় গুলো জানা উচিত

বিটরুট, বিশেষ করে কিডনি সমস্যা জনিত রোগীদের খাওয়া উচিত নয় ৷ কারণ বিটরুট এ থাকা অক্সিলোড গুলি গাউটে অবদান রাখতে পারে, আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে বিটরুট  এক ধরনের আর্থ্রাইটিস আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্য ৷ এছাড়া সুস্থ একজন মানুষের জন্য 

https://www.blogger.com/u/1/blog/post/preview/3800440192086476514/3242282729651525990

বিটরুট একটি পুষ্টিকর সবজি যা তার উজ্জ্বল লাল রঙ এবং স্বাদে মিষ্টি ও মাটি-মিশ্রিত স্বাদের জন্য পরিচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে বিটরুটের অন্তর্ভুক্তি অনেক উপকার বয়ে আনতে পারে। তবে, বিটরুট খাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা উচিত। এই আর্টিকেলে, আমরা বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত ও খাওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। 

এক নজরে পেজ সূচিপত্র:

১. বিটরুটের পুষ্টিগুণ

বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, বিটরুটে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আয়রন, জিংক, আয়োডিন ও মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।এতে ভিটামিন-সি,ফোলেট,ফাইবারএবং ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। বিটরুটের প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিটরুটে থাকা পুষ্টিগুণ কোলন ক্যান্সার এর মতন রোগ প্রতিরোধের জন্য বিটরুট 

২.বিটরুট স্বাস্থ্য উপকারিতা

বিটরুটে এন্টি অক্সিডেন্ট চোখের চোখের বিভিন্ন সমস্যার ঝুঁকি কমায় এবং বিটের জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিটরুট মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হৃদরোগ প্রতিরোধ বিটরুটের নাইট্রেট রক্তবাহের প্রসারণ ঘটায়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে 

https://www.blogger.com/u/1/blog/post/preview/3800440192086476514/3242282729651525990
এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।ব্যায়ামের সহায়ক.বিটরুটের রস ব্যায়াম করার সময় সহনশীলতা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক।ডিটক্সিফিকেশন.বিটরুটের বেটাইন নামক উপাদান লিভার ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:কোন দেশকে পৃথিবীর ভূ-স্বর্গ বলা হয় ?

৩.বিটরুটে  খাবার অপকারিতা 

বিটরুট  সাধারণত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কিছু ক্ষেত্রে এর অপকারিতা রয়েছে যেমন অতিরিক্ত খেলে পেটের হজম সমস্যা হয় পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে পারে৷ বিট রুটে থাকা নাইট্রোট রক্তচাপকমাতে সাহায্য করে তবে অতিরিক্ত খেলে রক্তচাপ খুব কম হয়ে যেতে পারে৷বিটরুটেউপস্থিত অক্সিলেট ক্যালসিয়াম ও আয়রনের শোষণে বাধা দিতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদী হাড়ের সমস্যা তৈরি করে৷বিটরুটে মধ্যে প্রাa

৪.বিটরুট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিটরুট সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বিটরিয়া বিটরুট খাওয়ার পর প্রস্রাব এবং মল লাল হতে পারে যা সাধারণত ক্ষতিকর নয়। আপনার যদি রক্তচাপ কম থাকে তাহলে এর থেকে বিরত থাকতে হবে ৷ বিশেষ করে কিছু লোকের এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন চুলকানিবা দম বন্ধ হওয়া এতে আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই ৷ অক্সালেট কন্টেন্ট বিটরুটে অক্সালেট বেশি থাকে, যা কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিডনি সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

৫.বিটরুটকে কি শালগম বলে

গ্রাম গঞ্জের অনেক মানুষ ধারণা করে সাধারণত বিটরুটকে শালগম বলে কিন্তু তা নয় এ ধারণাটি ভুল বিটরুট আলাদা জিনিস এবং শালগম আলাদা জিনিস ৷ বিটরুট হল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সবজি যা শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে থাকে ৷ বিটরুট এবং শালগম (যা ইংরেজিতে "turnip" নামে পরিচিত)
দুটি আলাদা সবজি। বিটরুট একটি মিষ্টি ও রঙিন শাকসবজি, যা মূলত লাল বা গোলাপি রঙের হয়। অন্যদিকে, শালগম একটি সাদা বা হালকা রঙের সবজি যা সাধারণত মাটির নিচে বেড়ে ওঠে এবং এর স্বাদ একটু তীক্ষ্ণ হয়। উভয়ের পুষ্টিগুণ ও ব্যবহারও ভিন্ন।

৬.বিটরুট পাউডার ও কাঁচা খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট কাঁচা খেতে সুস্বাদু এবং এর সালাত বেশ জনপ্রিয়।রান্না করা বিটরুট সিদ্ধ, ভাজা বা গ্রিল করে খাওয়া যেতে পারে।জুস বিটরুটের রস তৈরি করে পান করা একটি জনপ্রিয় উপায়। মাপ:সাধারণত প্রতিদিন ১ চামচ বিটরুট পাউডার যথেষ্ট। কিছু সূত্রে ২ চামচ পর্যন্ত অনুমোদিত হতে পারে,তবে তা আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।মিশ্রণ: পাউডারটি গরম বা ঠাণ্ডা পানিতে 

https://www.blogger.com/u/1/blog/post/preview/3800440192086476514/3242282729651525990

মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি স্মুদি, জুস, দই, বা অন্যান্য পানীয় এবং খাবারে যোগ করতে পারেন।খাওয়ারসময়:এটি সাধারণত সকালের খাবারের অংশ হিসেবে অথবা দুপুরে খাওয়া যেতে পারে।পরিমাণ: অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। দৈনিক পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে।সঙ্গে খাওয়া:আপনার ডায়েটে নতুন কিছু যোগ করার আগে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভাল

৭. বিটরুটের সাথে অন্যান্য খাবার

বিটরুটকে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় সাধারণত এটি একটি সবজি বা ফল, এটিকে সুপ বানিয়ে খাওয়া যায় সালাত বানিয়ে ভাতের সাথে খাওয়া যায় সরাসরি জমি থেকে তুলেও খাওয়া যায় এবং প্রোটিনের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। বিটরুট অনেক ধরনের রেসিপি আছে যেমন এটিকে সিদ্ধ করে কিছু পাউডার মিশিয়ে এবং এটিকে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে সুস্বাদু জেলি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে ইত্যাদি ৷এটি সালাদ, স্মুদি, স্যুপ এবং কারিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮. বিটরুট ক্রয় ও সংরক্ষণ

তাজা বিটরুট কিনতে হলে, মসৃণ ও শক্ত বিটরুট বেছে নিন। ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। বিটরুট সেদ্ধ করে পিউরি তৈরি করুন এবং হিমাহিত কন্টেনারে সংরক্ষণ করুন৷ সেদ্ধ বিটরুট কিউব বা স্কয়ার আকারে কেটে নিন এবং ভিনেগার, চিনির সঙ্গে মিশিয়ে কনজারভিং যারেসংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। ফ্রিজিং করার পদ্ধতি: আগে বিটরুটকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে নিন তারপর সেগুলো একটি ফ্রিজার ব্যাগ রাখুন এবং ফ্রিজে রেখে দিন এইভাবে বিটরুট ৮-১২ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব

৯. বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা

বিটরুট, একটি গার্হ বা [dark] লাল রঙের শাকসবজি, শুধুমাত্র খাবারের উপকরণ নয় বরং এটি রূপচর্চার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকরী। এর মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস ত্বককে উজ্জ্বল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।বিটরুটের এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি ত্বক ও সৌন্দর্য উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। 
https://www.blogger.com/u/1/blog/post/preview/3800440192086476514/3242282729651525990
তবে, যেকোনো নতুন উপাদান ব্যবহারের আগে ত্বকের একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে দেখতে ভুলবেন না। ত্বকে কোনো অ্যালার্জি বা অস্বস্তি দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন এবং প্রয়োজনে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

উপসংহার

বিটরুট একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য, যা সঠিকভাবে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মাথায় রেখে এবং সঠিকভাবে প্রস্তুত করে খাওয়া উচিত। যাদের স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম রক্তচাপ রয়েছে তারা এটি থেকে বিরত থাকা উচিত।বিটরুট কে সবজি বা ফল আকারে খাওয়া যায় যা শরীরের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এর চাহিদা পূরণ করে থাকে এটি অনেক উপকারী একটি ফল অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত এবং যাদের অ্যালার্জি আছে তারা এটি থেকে বিরত থাকবেন।বিটরুটকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করে আপনি একটি সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url