যে ৯-টি লক্ষণ দেখলে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত

প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করার প্রয়োজন: ৬-টি পরামর্শ

ভুমিকা:প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলি একজন নারীর শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে,গর্ভাবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয় যা নারীর জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/07/health-tips-2024.htmlপারে। তাই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময় ও লক্ষণগুলো একজন নারীর জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। নিচে ৯টি লক্ষণ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো,যেগুলো কারো জীবনে দেখা গেলে এবং সন্দেহ দূর করার জন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত 

এক নজরে সূচিপত্র

  1. মাসিক বন্ধ হওয়া
  2. বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস
  3. স্তনের পরিবর্তন
  4. ক্লান্তি
  5. ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া
  6. ক্ষুধা বৃদ্ধি বা খাদ্যাভাসের পরিবর্তন
  7. মুড বা মেজাজ মনের অবস্থার পরিবর্তন
  8. পেটের নিচে হালকা ব্যথা
  9. গা গরম বা শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি
  10. পরামর্শ

১. মাসিক বন্ধ হওয়া

মাসিক বা পিরিয়ড নিয়মিত না হওয়া বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। যদি আপনার মাসিক সাধারণত নিয়মিত হয় এবং হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এটি প্রেগন্যান্সির ইঙ্গিত হতে পারে। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত

২. reবমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস

গর্ভাবস্থার শুরুতে অনেক নারীই বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস অনুভব করেন। এটি সাধারণত সকালে বেশি হয়, তবে দিনব্যাপীও হতে পারে। মর্নিং শিকনেস যা মূলত গর্ব অবস্থায় প্রথম 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/07/health-tips-2024.htmlএৈমাসিক সময়ে ঘটে এবং সাধারণত গর্ভাবস্থায় দ্বিতীয় এৈমাসিক থেকে কমে যেতে শুরু করে ৷ তবে যদি লক্ষণ গুলো খুব তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত

৩. স্তনের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন আকারে পরিবর্তন আসে ফুলে যাওয়া বা স্পর্শে ব্যথা অনুভূত হওয়া ,সংবেদনশীল হওয়া বা স্তনের বোঁটা গাঢ় হয়ে যেতে পারে। এই লক্ষণগুলো হরমোনের বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে ঘটে। আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে

৪. ক্লান্তি

অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা শক্তি হ্রাস গর্ভাবস্থার আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে এবং জ্বর অনুভূতি হয়, এমন সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোন পরিবর্তন হয় ৷ প্রোজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি কারণে শরীরে অস্বাভাবিক মাত্রায় এই ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন:গর্ভাবস্থায় মিক্সড ড্রাই ফুড খাওয়ার উপকারিতা

৫. ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া 

গর্ভাবস্থার প্রথম দিকেই প্রস্রাবের ঘনঘন প্রয়োজন হতে পারে, কারণ শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং কিডনি দিয়ে অতিরিক্ত তরল বের হয়। হরমোনাল পরিবর্তন প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, মুত্রাশয়ের চাপ গর্ভাবস্থায় ক্রমবর্ধমান গর্ভাশয় এর উপর চাপ সৃষ্টি করে, শরীরের তরল পরিমান নিয়ন্ত্রণের জন্য মূত্রাশয় বেশি প্রসব তৈরি হয়, তাই ঘন ঘন প্রস্রাব অনুভূতি হয়।

৬. ক্ষুধা বৃদ্ধি বা খাদ্যাভাসের পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় শরীরের অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন হওয়ার কারণে খিদে বাড়তে পারে,অনেক নারীই গর্ভাবস্থার শুরুতেই ক্ষুধা বৃদ্ধি বা খাদ্যাভাসে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি আকর্ষণ বা অরুচিও দেখা দিতে পারে। যদি খাদ্যাভাসের পরিবর্তন খুব অস্বস্তিকর হয় বা কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করে, তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত ৷

৭. মুড বা মেজাজ মনের অবস্থার পরিবর্তন

হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মুড সুইং বা মনের অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। এটি গর্ভাবস্থার সাধারণ একটি লক্ষণ। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকম চিন্তা ভাবনা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ভালো সময় গুলোকে অনুভব করতে হবে যেন আপনার মনের অবস্থা ভালো থাকে মন ভালো থাকলে শরীর ভালো থাকবে ৷ গর্ভাবস্থায় শরীরের বিভিন্ন হরমোন এর পরিবর্তন এর কারণে মেজাজ খিটমিতে হতে পারে এটি কোন অস্বাভাবিক নয

৮. পেটের নিচে হালকা ব্যথা

যদি আপনি পেটের নিচে হালকা ব্যথা বা ক্র্যাম্প অনুভব করেন, তবে এটি গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। এটি সাধারণত মাসিকের সময়ের মতো অনুভূত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় লিগামেন্ট গুলি যা গর্ভাশয় কে 

https://www.tukitakiitbd.com/2024/06/health.htmlসমর্থন করে প্রসারিত হয় যার ফলে পেটের নিচে হালকা অস্বস্তি হতে পারে৷কিছু সময় তলপেটে ব্যথা মেন্সয়াল পেনের অনুরূপ হতে পারে যা গর্ভাবস্থার সাধারণ লক্ষণ হতে পারে

৯. গা গরম বা শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি

গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি সাধারণ ঠান্ডা বা জ্বরের মতো নয়, বরং একটি স্থায়ী উষ্ণ ভাব।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক লক্ষণ লক্ষ্য করেন, তাহলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত। প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য বাজারে সহজলভ্য কিট পাওয়া যায়, তবে সঠিক ফলাফলের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।

পরামর্শ

প্রেগন্যান্সি একটি সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ সময়, তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি আপনার মধ্যে থাকে, তবে দেরি না করে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন এবং প্রয়োজন হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

আপনার স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা সবার আগে। গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই সঠিক যত্ন নেওয়া আপনার এবং আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url