জমি জমার কোন কাগজ কোথায় পাওয়া যায়

 জমি জমার কোন কাগজ কোথায় পাওয়া যায়

সর্বশেষ রেকর্ডের খসড়া পর্চা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে পাওয়া যায়।সর্বশেষ রেকর্ডসহ যেকোন রেকর্ডের সই মুহুরী পর্চা জেলার কালেক্টর সাহেবের রেকর্ড রুমে পাওয়া যায়।

* রেজিস্ট্রিকৃত কবলা বা দলিলের নকল উপজেলা সাব রেজিস্টার অফিসে পাওয়া যায়। (নতুন দলিলবহু বছরের পুরানো দলিল জেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে পাওয়া যায়।

* দেওয়ানী আদালতের ডিগ্রী বা রায়ের কপি নতুন মামলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতের নকল ঘরে পাওয়া যায়। বহু বছরের পুরনো মামলার ক্ষেত্রে জেলা ভূমি অফিসে পাওয়া যায়। যেমন নিলামের কাগজপত্র।

সেটেলমেন্ট আমিনের কর্তব্য কাজ ও জরিপের প্রয়োজনীয়তা:

জমি জমা চিরকাল ধরেই একজনের দখলে থাকে না। ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে হাত বদল হয়। এছাড়া মানুষ যেহেতু মরণশীল। তাই মৃত্যুর পরেই সম্পত্তির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে যায় ওয়ারিশগণ মালিক হয়ে যায়। বিধায় নতুন মালিকদের নামে নতুনভাবে খতিয়ান প্রস্তুত করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। এছাড়া 

জমিও একাধিক খন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। আবার কোন কোন জমির মালিক পার্শ্ববর্তী জমি ক্রয় করে দুই দাগ একত্রিত করে ফেলে। বিধায় এসবের সঠিক সমাধানের জন্যই জরিপের বিশেষ প্রয়োজন।সেটেলমেন্ট আমিনেরা সরে জমিনে মাপ করে নতুন নক্সা তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ দ্বায়িত্ব পালন করে থাকেন। সীমানার তর্ক উপস্থিত হলে আমিনেরা জরিপ দ্বারা মিমাংসা করে থাকেন।

খতিয়ান কি: মৌজা ভিত্তিক এক বা একাদিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর নাম ও প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য।

CS (সি এস)-Cadastral Survey (১৮৮৮)

RS (আর এস) -Revitionel Survey

SA (এস এ)- (১৯৫৬)

PS (পি এস) - Pakistan Survey

BS (বি এস)- Bangladesh Survey (১৯৯০)


১২ দলিল যার জমি তার জমিজমা সংক্রান্ত আইন ২০২৪ এবং জমির মাপসহ

সিটি জরিপ-City Survey

দিয়ারা জরিপ সি.এস. জরিপ/রেকর্ড (Cadastral Survey)

নিচে বিভিন্ন খতিয়ানের 'আলোচনা করা হল:

পেটি-পেটি খতিয়ান: কোন কোন সময় নির্দিষ্ট এক বা একাধিক মৌজা বিচ্ছিন্ন ভাবে জরিপ করার দরকার হয়। তখন জেলা প্রশাসককে সেটেলমেন্ট অফিসারের ক্ষমতা দেয়া হয়।ক্ষুদ্র এলাকার এই সেটেলমেন্টককে পেটি জরিপ বলে।

দিয়ারা: দিয়ারা জরিপ হলো দবিয়া সম্পর্কিত জরিপ। জেগে উঠা নতুন ভূখন্ড (চর)

জেলা প্রশাসকের চাহিদার ভিত্তিতে সিকস্তি পয়স্তির কারণে ভৌগলিক সীমারেখা ও স্বত্বের পরিবর্তন হলে নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় নতুন জরিপ করা হয়। এ সমস্ত জরিপে নকশা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। এটি অতি পুরাতন জরিপ। ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৮৮ সালে, পক্ষান্তরে দিয়ারা জরিপ আরম্ভ হয় ১৮৬২ সালে। দিয়ারা জরিপে সাধারন জরিপের জন্য প্রযোজ্য সকল স্তর অনুসরন করে

পয়স্তি ভূমির (চর) নক্রা ও রেকর্ড প্রস্তুত করা হয়। দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে ৪টি (রাজশাহী, নরসিংদী, চট্টগ্রাম ও' বরিশাল) বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অফিস ও ক্যাম্পের মাধ্যমে সারাদেশের সুনির্দিষ্ট কিছু মৌজায় এ জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। সূত্র dirs.gov.bd

সি এস খতিয়ান : ১৯১০-২০ সনের মধ্যে সরকারি আমিনগণ প্রতিটি ভূমিখণ্ড পরিমাপ করে উহার আয়তন, অবস্থান ও ব্যবহারের প্রকৃতি নির্দেশক মৌজা নকশা এবং প্রতিটি ভূমিখন্ডের মালিক দখলকারের বিররণ সংবলিত যে খতিয়ান তৈরি করেন সিএস খতিয়ান নামে পরিচিত।

এস এ খতিয়ান: ১৯৫০ সালের জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন

পাসের পর সরকার জমিদারি অধিগ্রহণ করেন। তৎপর সরকারি জরিপ কর্মচারীরা সরেজমিনে মাঠে না গিয়ে সিএস খতিয়ান সংশোধন করে যে খতিয়ান প্রস্তুত করেন তা এসএ খতিয়ান নামে পরিচিত। কোনো অঞ্চলে এ-খতিয়ান আর এস খতিয়ান নামেও পরিচিত। বাংলা ১৩৬২ সালে এই খতিয়ান প্রস্তুত হয় বলে বেশির ভাগ মানুষের কাছে এসএ খতিয়ান ৬২র খতিয়ান নামেও পরিচিত।

আর এস খতিয়ান: একবার জরিপ হওয়ার পর তাতে উল্লেখিত ভুলত্রুটি

সংশোধনের জন্য পরবর্তীতে যে জরিপ করা হয় তা আরএস খতিয়ান নামে পরিচিত। দেখা যায় যে, এসএ জরিপের আলোকে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান প্রস্তুতের সময় জরিপ কর্মচারীবা সরেজমিনে তদন্ত করেনি। তাতে অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। ওই ত্রুটি-


দলিল যার জমি তার জমিজমা সংক্রান্ত আইন ২০২৪ এবং জমির মাপসহ ১৩র


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url